পরিচ্ছেদঃ ১৬১২. সঙ্গীদের হাদিয়া দিতে গিয়ে তার কোন স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দিনে অপেক্ষা করা

২৪১০। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার বিষয় আমার জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, আমার সতিনগণ (এ বিষয় নিয়ে আমার ঘরে) একত্রিত হলেন। ফলে উম্মু সালামা (রাঃ) বিষয়টি তাঁর কাছে উত্থাপন করলেন, কিন্তু তিনি জওয়াব দিলেন না।

باب مَنْ أَهْدَى إِلَى صَاحِبِهِ وَتَحَرَّى بَعْضَ نِسَائِهِ دُونَ بَعْضٍ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمُ يَوْمِي‏.‏ وَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ إِنَّ صَوَاحِبِي اجْتَمَعْنَ‏.‏ فَذَكَرَتْ لَهُ، فَأَعْرَضَ عَنْهَا‏.‏

حدثنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، عن هشام، عن ابيه، عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ قالت كان الناس يتحرون بهداياهم يومي‏.‏ وقالت ام سلمة ان صواحبي اجتمعن‏.‏ فذكرت له، فاعرض عنها‏.‏


Narrated `Aisha:

The people used to send gifts to the Prophet (ﷺ) on the day of my turn. Um Salama said: "My companions (the wives of the Prophet (ﷺ) Other than Aisha) gathered and they complained about it. So I informed the Prophet about it on their behalf, but he remained silent.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৩/ হিবা (উপহার) প্রদান (كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها) 43/ Gifts

পরিচ্ছেদঃ ১৬১২. সঙ্গীদের হাদিয়া দিতে গিয়ে তার কোন স্ত্রীর জন্য নির্ধারিত দিনে অপেক্ষা করা

২৪১১। ইসমাইল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীগণ দু’দলে বিভক্ত ছিলেন। একদলে ছিলেন আয়িশা, হাফসা, সাফিয়্যা ও সাওদা (রাঃ) অপর দলে ছিলেন উম্মু সালামা (রাঃ) সহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যান্য স্ত্রীগণ। আয়িশা (রাঃ) এর প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশেষ ভালোবাসার কথা সাহাবীগণ জানতেন। তাই তাদের মধ্যে কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু হাদিয়া পাঠাতে চাইলে তা বিলম্বিত করতেন। যেদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা (রাঃ) এর ঘরে অবস্থান করতেন। যেদিন হাদিয়া দানকারী ব্যাক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আয়িশা (রাঃ) এর ঘরে তা পাঠিয়ে দিতেন। উম্মু সালামা (রাঃ) এর দল তা নিয়ে আলোচনা করলেন।

উম্মু সালামা (রাঃ) কে তাঁরা বললেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে (এ বিষয়ে) আপনি আলাপ করুন। তিনি যেন লোকদের বলেন যে, যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে হাদিয়া পাঠাতে চান, তারা যেন তাঁর কাছে পাঠিয়ে দেন, যে স্ত্রীর ঘরেই তিনি থাকুননা কেন। উম্মু সালামা (রাঃ) তাদের প্রস্তাব নিয়ে তাঁর সাথে আলাপ করলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে কোন জওয়ার দিলেন না। পরে সবাই তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, তিনি আমাকে কোন জবাব দিলেন না। তখন তাঁরা তাকে বললেন, আপনি তার সাতে আবার আলাপ করুন। (আয়িশা) বলেন, যেদিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর (উম্মু সালামার) ঘরে গেলেন, সেদিন তিনি আবার তাঁর কাছে আলাপ তুললেন। সেদিনও তিনি তাকে কিছু বললেন না।

তারপর তারা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তিনি বললেন, আমাকে তিনি কিছুই বলেন নি। তখন তাঁরা তাঁকে বললেন, তিনি কোন জওয়াব না দেওয়া পর্যন্ত আপনি বলতে থাকুন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ঘরে গেলে আবার তিনি তাঁর কাছে সে প্রসঙ্গ তুললেন। একবার তিনি তাকে বললেন, আয়িশা (রাঃ) এর ব্যাপার নিয়ে আমাকে কষ্ট দিও না। মনে রেখো, আয়িশা (রাঃ) ছাড়া আর কোন স্ত্রী বস্ত্রাচ্ছাদনে থাকা অবস্থায় আমার উপর ওহী নাযিল হয়নি। (আয়িশা (রাঃ) বলেন, একথা শুনে তিনি (উম্মু সালামা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কষ্ট দেওয়ার (অপরাধ) থেকে আমি আল্লাহর কাছে তওবা করছি।

তারপর সকলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) কে এনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একথা বলার জন্য পাঠালেন যে, আপনার স্ত্রীগণ আল্লাহর দোহাই দিয়ে আবূ বকর (রাঃ) এর কন্যা সম্পর্কে ইনসাফের আবেদন জানোাচ্ছেন। (ফাতিমা (রাঃ) তাঁর কাছে বিষয়টি তুলে ধরলেন। তখন তিনি বললেন, প্রিয় কন্যা! আমি যা পছন্দ করি, তাই কি তুমি পছন্দ কর না? তিনি বললেন, অবশ্যই করি। তারপর তাদের কাছে গিয়ে তাদেরকে (আদ্যোপান্ত) অবহিত করলেন। তারা তাকে বললেন, তুমি আবার যাও। কিন্তু এবার তিনি যেতে অস্বীকার করলেন।

তখন তারা যায়নব বিনতে জাহাশ (রাঃ) কে পাঠালেন। তিনি তাঁর কাছে গিয়ে কঠোর ভাষা ব্যবহার করলেন, এবং বললেন, আপনার স্ত্রীগণ! আল্লাহর দোহাই দিয়ে ইবনু আবূ কুহাফার [আবূ বকর (রাঃ)] এর কন্যা সম্পর্কে ইনসাফের আবেদন জানোাচ্ছেন। এরপর তিনি গলার স্বর উচু করলেন। এমনকি আয়িশা (রাঃ) কে জড়িয়েও কিছু বললেন। আয়িশা (রাঃ) সেখানে বসা ছিলেন। শেষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা (রাঃ) এর দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন। তিনি কিছু বলেন কিনা।

(রাবী উরওয়া) বলেন, আয়িশা (রাঃ) যয়নাব (রাঃ) এর কথার প্রস্তুতি বাদে কথা বলতে শুরু করলেন এবং তাকে চুপ করে দিলেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আয়িশা (রাঃ) এর দিকে তাকিয়ে বললেন, এ হচ্ছে আবূ বকর (রাঃ) এর কন্য। আবূ মারওয়ান গাসসানী (রাঃ) হিশাম এর সূত্রে উরওয়া (রহঃ) থেকে বলেন, লোকেরা তাদের হাদিয়াসমূহ নিয়ে আয়িশা (রাঃ) এর জন্য নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। অন্য সনদে হিশাম (রহঃ) মুহাম্মদ ইবনু আবদুর রাহমান ইবনু হারিস ইবনু হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম, এমন সময় ফাতিমা (রাঃ) অনুমতি চাইলেন।

باب مَنْ أَهْدَى إِلَى صَاحِبِهِ وَتَحَرَّى بَعْضَ نِسَائِهِ دُونَ بَعْضٍ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ نِسَاءَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كُنَّ حِزْبَيْنِ فَحِزْبٌ فِيهِ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ وَصَفِيَّةُ وَسَوْدَةُ، وَالْحِزْبُ الآخَرُ أُمُّ سَلَمَةَ وَسَائِرُ نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَكَانَ الْمُسْلِمُونَ قَدْ عَلِمُوا حُبَّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَائِشَةَ، فَإِذَا كَانَتْ عِنْدَ أَحَدِهِمْ هَدِيَّةٌ يُرِيدُ أَنْ يُهْدِيَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَّرَهَا، حَتَّى إِذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ عَائِشَةَ بَعَثَ صَاحِبُ الْهَدِيَّةِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ عَائِشَةَ، فَكَلَّمَ حِزْبُ أُمِّ سَلَمَةَ، فَقُلْنَ لَهَا كَلِّمِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُكَلِّمُ النَّاسَ، فَيَقُولُ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُهْدِيَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَدِيَّةً فَلْيُهْدِهِ إِلَيْهِ حَيْثُ كَانَ مِنْ بُيُوتِ نِسَائِهِ، فَكَلَّمَتْهُ أُمُّ سَلَمَةَ بِمَا قُلْنَ، فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا، فَسَأَلْنَهَا‏.‏ فَقَالَتْ مَا قَالَ لِي شَيْئًا‏.‏ فَقُلْنَ لَهَا فَكَلِّمِيهِ‏.‏ قَالَتْ فَكَلَّمَتْهُ حِينَ دَارَ إِلَيْهَا أَيْضًا، فَلَمْ يَقُلْ لَهَا شَيْئًا، فَسَأَلْنَهَا‏.‏ فَقَالَتْ مَا قَالَ لِي شَيْئًا‏.‏ فَقُلْنَ لَهَا كَلِّمِيهِ حَتَّى يُكَلِّمَكِ‏.‏ فَدَارَ إِلَيْهَا فَكَلَّمَتْهُ‏.‏ فَقَالَ لَهَا ‏"‏ لاَ تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ، فَإِنَّ الْوَحْىَ لَمْ يَأْتِنِي، وَأَنَا فِي ثَوْبِ امْرَأَةٍ إِلاَّ عَائِشَةَ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ فَقَالَتْ أَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مِنْ أَذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ ثُمَّ إِنَّهُنَّ دَعَوْنَ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلْنَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدْنَكَ اللَّهَ الْعَدْلَ فِي بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ‏.‏ فَكَلَّمَتْهُ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ يَا بُنَيَّةُ، أَلاَ تُحِبِّينَ مَا أُحِبُّ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ بَلَى‏.‏ فَرَجَعَتْ إِلَيْهِنَّ، فَأَخْبَرَتْهُنَّ‏.‏ فَقُلْنَ ارْجِعِي إِلَيْهِ‏.‏ فَأَبَتْ أَنْ تَرْجِعَ، فَأَرْسَلْنَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ، فَأَتَتْهُ فَأَغْلَظَتْ، وَقَالَتْ إِنَّ نِسَاءَكَ يَنْشُدْنَكَ اللَّهَ الْعَدْلَ فِي بِنْتِ ابْنِ أَبِي قُحَافَةَ‏.‏ فَرَفَعَتْ صَوْتَهَا، حَتَّى تَنَاوَلَتْ عَائِشَةَ‏.‏ وَهْىَ قَاعِدَةٌ، فَسَبَّتْهَا حَتَّى إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَنْظُرُ إِلَى عَائِشَةَ هَلْ تَكَلَّمُ قَالَ فَتَكَلَّمَتْ عَائِشَةُ تَرُدُّ عَلَى زَيْنَبَ، حَتَّى أَسْكَتَتْهَا‏.‏ قَالَتْ فَنَظَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَائِشَةَ، وَقَالَ ‏"‏ إِنَّهَا بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ ‏"‏‏.‏ قَالَ الْبُخَارِيُّ الْكَلاَمُ الأَخِيرُ قِصَّةُ فَاطِمَةَ يُذْكَرُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ رَجُلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ‏.‏ وَقَالَ أَبُو مَرْوَانَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ عُرْوَةَ كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ‏.‏ وَعَنْ هِشَامٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَرَجُلٍ مِنَ الْمَوَالِي، عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ قَالَتْ عَائِشَةُ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَتْ فَاطِمَةُ‏.‏

حدثنا اسماعيل، قال حدثني اخي، عن سليمان، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ ان نساء، رسول الله صلى الله عليه وسلم كن حزبين فحزب فيه عاىشة وحفصة وصفية وسودة، والحزب الاخر ام سلمة وساىر نساء رسول الله صلى الله عليه وسلم، وكان المسلمون قد علموا حب رسول الله صلى الله عليه وسلم عاىشة، فاذا كانت عند احدهم هدية يريد ان يهديها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم اخرها، حتى اذا كان رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيت عاىشة بعث صاحب الهدية الى رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيت عاىشة، فكلم حزب ام سلمة، فقلن لها كلمي رسول الله صلى الله عليه وسلم يكلم الناس، فيقول من اراد ان يهدي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم هدية فليهده اليه حيث كان من بيوت نساىه، فكلمته ام سلمة بما قلن، فلم يقل لها شيىا، فسالنها‏.‏ فقالت ما قال لي شيىا‏.‏ فقلن لها فكلميه‏.‏ قالت فكلمته حين دار اليها ايضا، فلم يقل لها شيىا، فسالنها‏.‏ فقالت ما قال لي شيىا‏.‏ فقلن لها كلميه حتى يكلمك‏.‏ فدار اليها فكلمته‏.‏ فقال لها ‏"‏ لا توذيني في عاىشة، فان الوحى لم ياتني، وانا في ثوب امراة الا عاىشة ‏"‏‏.‏ قالت فقالت اتوب الى الله من اذاك يا رسول الله‏.‏ ثم انهن دعون فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم فارسلن الى رسول الله صلى الله عليه وسلم تقول ان نساءك ينشدنك الله العدل في بنت ابي بكر‏.‏ فكلمته‏.‏ فقال ‏"‏ يا بنية، الا تحبين ما احب ‏"‏‏.‏ قالت بلى‏.‏ فرجعت اليهن، فاخبرتهن‏.‏ فقلن ارجعي اليه‏.‏ فابت ان ترجع، فارسلن زينب بنت جحش، فاتته فاغلظت، وقالت ان نساءك ينشدنك الله العدل في بنت ابن ابي قحافة‏.‏ فرفعت صوتها، حتى تناولت عاىشة‏.‏ وهى قاعدة، فسبتها حتى ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لينظر الى عاىشة هل تكلم قال فتكلمت عاىشة ترد على زينب، حتى اسكتتها‏.‏ قالت فنظر النبي صلى الله عليه وسلم الى عاىشة، وقال ‏"‏ انها بنت ابي بكر ‏"‏‏.‏ قال البخاري الكلام الاخير قصة فاطمة يذكر عن هشام بن عروة عن رجل عن الزهري عن محمد بن عبد الرحمن‏.‏ وقال ابو مروان عن هشام عن عروة كان الناس يتحرون بهداياهم يوم عاىشة‏.‏ وعن هشام عن رجل من قريش، ورجل من الموالي، عن الزهري عن محمد بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام قالت عاىشة كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم فاستاذنت فاطمة‏.‏


Narrated `Urwa from `Aisha:

The wives of Allah's Messenger (ﷺ) were in two groups. One group consisted of `Aisha, Hafsa, Safiyya and Sauda; and the other group consisted of Um Salama and the other wives of Allah's Messenger (ﷺ). The Muslims knew that Allah's Messenger (ﷺ) loved `Aisha, so if any of them had a gift and wished to give to Allah's Messenger (ﷺ), he would delay it, till Allah's Messenger (ﷺ) had come to `Aisha's home and then he would send his gift to Allah's Messenger (ﷺ) in her home. The group of Um Salama discussed the matter together and decided that Um Salama should request Allah's Messenger (ﷺ) to tell the people to send their gifts to him in whatever wife's house he was. Um Salama told Allah's Messenger (ﷺ) of what they had said, but he did not reply. Then they (those wives) asked Um Salama about it. She said, "He did not say anything to me." They asked her to talk to him again. She talked to him again when she met him on her day, but he gave no reply. When they asked her, she replied that he had given no reply. They said to her, "Talk to him till he gives you a reply." When it was her turn, she talked to him again. He then said to her, "Do not hurt me regarding Aisha, as the Divine Inspirations do not come to me on any of the beds except that of Aisha." On that Um Salama said, "I repent to Allah for hurting you." Then the group of Um Salama called Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and sent her to Allah's Messenger (ﷺ) to say to him, "Your wives request to treat them and the daughter of Abu Bakr on equal terms." Then Fatima conveyed the message to him. The Prophet (ﷺ) said, "O my daughter! Don't you love whom I love?" She replied in the affirmative and returned and told them of the situation. They requested her to go to him again but she refused. They then sent Zainab bint Jahsh who went to him and used harsh words saying, "Your wives request you to treat them and the daughter of Ibn Abu Quhafa on equal terms." On that she raised her voice and abused `Aisha to her face so much so that Allah's Messenger (ﷺ) looked at `Aisha to see whether she would retort. `Aisha started replying to Zainab till she silenced her. The Prophet (ﷺ) then looked at `Aisha and said, "She is really the daughter of Abu Bakr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৩/ হিবা (উপহার) প্রদান (كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها) 43/ Gifts
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে