পরিচ্ছেদঃ ৭৫০. নফল সালাত জামা’আতে আদায় করা।

ذَكَرَهُ أَنَسٌ وَعَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

এ বিষয়ে আনাস ও আয়িশা (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।


১১১৪। ইসহাক (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মাহমুদ ইবনু রাবী’ আনসারী (রাঃ) আমাকে খবর দিয়েছেন, (শৈশবে তাঁর দেখা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা তাঁর ভাল স্মরণ আছে এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের বাড়ির কূপ থেকে (পানি মুখে নিয়ে বরকতের জন্য) তার মুখমণ্ডলে যে ছিটিয়ে দিচ্ছিলেন সে কথাও তার ভাল স্মরণ আছে। মাহমুদ (রহঃ) বলেন যে, ইতবান ইবনু মালিক আনসারী (রাঃ) কে [যিনি ছিলেন বদর জিহাদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংগে উপস্থিত বদরী সাহাবীগণের অন্যতম] বলতে শুনেছেন যে, আমি আমার কাওম বনূ সালিমের সালাতে ইমামতি করতাম। আমার ও তাদের (কাওমের মসজিদের) মধ্যে বিদ্যমান একটি উপত্যকা। উপত্যকা বৃষ্টি হলে আমার মসজিদ গমনে অন্তরায় সৃষ্টি করতো। এবং এ উপত্যকা অতিক্রম করে তাদের মসজিদে যাওয়া আমার জন্য কষ্টকর হতো।

তাই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাজির হয়ে আরয করলাম, (ইয়া রাসূলাল্লাহ!) আমি আমার দৃষ্টিশক্তির ঘাটতি অনুভব করছি (এ ছাড়া) আমার ও আমার গোত্রের মধ্যকার উপত্যকাটি বৃষ্টি হলে প্লাবিত হয়ে যায়। তখন তা পার হওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই আমার একান্ত আশা যা আপনি শুভাগমন করে (বরকত স্বরূপ) আমার ঘরের কোন স্থানে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেন; আমি সে স্থানটিকে মুসাল্লা (সালাতের স্থানরূপে নির্ধারিত) করে নিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অচিরেই তা করবো।

পরের দিন সূর্যের উত্তাপ যেদিন বেড়ে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বক্‌র (রাঃ) (আমার বাড়িতে) তাশরীফ আনলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাইলে আমি তাঁকে স্বাগত জানালাম, তিনি উপবেশন না করেই আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার ঘরের কোন জায়গায় আমার সালাত আদায় করা তুমি পছন্দ কর? যে স্থানে তাঁর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা আমার মনঃপূত ছিল, তাঁকে আমি সে স্থানের দিকে ইশারা করে (দেখিয়ে) দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে তাক্‌বীর বললেন, আমরা সারিবদ্ধভাবে তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম। তিনি দু’ রাকা’আত সালাত আদায় করে সালাম ফিরালেন। তাঁর সালাম ফেরানোর সময় আমরাও সালাম ফিরালাম। এরপর তাঁর উদ্দেশ্যে যে খাযীরা প্রস্তুত করা হচ্ছিল তা আহারের জন্য তাঁর প্রত্যাগমনে আমি বিলম্ব ঘটালাম।

ইতিমধ্যে মহল্লার লোকেরা আমার বাড়ীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবস্থান সংবাদ শুনতে পেয়ে তাঁদের কিছু লোক এসে গেলেন। এমন কি আমার ঘরে অনেক লোকের সমাগম ঘটলো। তাঁদের একজন বললেন, মালিক ইবনু দুখায়শিন্‌ করল কি? তাঁকে দেখছি না যে? তাঁদের একজন জবাব দল, সে মুনাফিক! আল্লাহও তাঁর রাসূলকে মুহাব্বাত করে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেনঃ এমন কথা বলবে না। তুমি কি লক্ষ্য করছ না, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় ’লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ উচ্চারন করছে। সে ব্যাক্তি বলল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সমধিক অবগত। তবে আল্লাহর কসম! আমরা মুনাফিকদের সাথেই তার ভালবাসা ও আলাপ-আলোচনা দেখতে পাই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেনঃ আল্লাহ পাক সে ব্যাক্তিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিয়েছেন, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ’লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ উচ্চারন করে।

মাহমূদ (রাঃ) বলেন, এক যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে একদল লোকের কাছে বর্ণনা করলাম তাঁদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী আবূ আইয়ূব (আনসারী) (রাঃ) ছিলেন। তিনি সে যুদ্ধে ওফাত পেয়েছিলেন। আর ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়া (রাঃ) রোমানদের দেশে তাদের আমীর ছিলেন। আবূ আইয়ূব (রাঃ) আমার বর্ণিত হাদিসটি অস্বীকার করে বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি যে কথা বলেছ তা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন তা আমি বিশ্বাস করতে পারি না। ফলে তা আমার কাছে ভারী মনে হল। তখন আমি আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করলাম যে, যদি এ যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তিনি আমাকে নিরাপদ রাখেন, তাহলে আমি ইত্‌বান ইবনু মালিক (রাঃ)-কে তাঁর কওমের মসজিদের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবো, যদি তাঁকে জীবিত অবস্থায় পেয়ে যাই।

এরপর আমি ফিরে চললাম এবং হাজ্জ (হজ্জ) কিংবা উমরার নিয়্যাতে ইহ্‌রাম করলাম। তারপর সফর করতে করতে আমি মদিনায় উপনীত হয়ে বনূ সালিম গোত্রে উপস্থিত হলাম। দেখতে পেলাম ইত্‌বান (রাঃ) যিনি তখন একজন বৃদ্ধ ও অন্ধ ব্যাক্তি কওমের সালাত ইমামতি করছেন। তিনি সালাত শেষ করলে আমি তাঁকে সালাম দিলাম এবং আমার পরিচয় দিয়ে উক্ত হাদীস সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি প্রথমবারের মতই অবিকল আমাকে হাদীসখানা শোনালেন।

باب صَلاَةِ النَّوَافِلِ جَمَاعَةً

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ الأَنْصَارِيُّ، أَنَّهُ عَقَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَعَقَلَ مَجَّةً مَجَّهَا فِي وَجْهِهِ مِنْ بِئْرٍ كَانَتْ فِي دَارِهِمْ‏.‏ فَزَعَمَ مَحْمُودٌ أَنَّهُ سَمِعَ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ الأَنْصَارِيّ َ ـ رضى الله عنه ـ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ كُنْتُ أُصَلِّي لِقَوْمِي بِبَنِي سَالِمٍ، وَكَانَ يَحُولُ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ وَادٍ إِذَا جَاءَتِ الأَمْطَارُ فَيَشُقُّ عَلَىَّ اجْتِيَازُهُ قِبَلَ مَسْجِدِهِمْ، فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ لَهُ إِنِّي أَنْكَرْتُ بَصَرِي، وَإِنَّ الْوَادِيَ الَّذِي بَيْنِي وَبَيْنَ قَوْمِي يَسِيلُ إِذَا جَاءَتِ الأَمْطَارُ فَيَشُقُّ عَلَىَّ اجْتِيَازُهُ، فَوَدِدْتُ أَنَّكَ تَأْتِي فَتُصَلِّي مِنْ بَيْتِي مَكَانًا أَتَّخِذُهُ مُصَلًّى‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سَأَفْعَلُ ‏"‏‏.‏ فَغَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ بَعْدَ مَا اشْتَدَّ النَّهَارُ فَاسْتَأْذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَذِنْتُ لَهُ فَلَمْ يَجْلِسْ حَتَّى قَالَ ‏"‏ أَيْنَ تُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ مِنْ بَيْتِكَ ‏"‏‏.‏ فَأَشَرْتُ لَهُ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي أُحِبُّ أَنْ أُصَلِّيَ فِيهِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَبَّرَ وَصَفَفْنَا وَرَاءَهُ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ وَسَلَّمْنَا حِينَ سَلَّمَ، فَحَبَسْتُهُ عَلَى خَزِيرٍ يُصْنَعُ لَهُ فَسَمِعَ أَهْلُ الدَّارِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي فَثَابَ رِجَالٌ مِنْهُمْ حَتَّى كَثُرَ الرِّجَالُ فِي الْبَيْتِ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ مَا فَعَلَ مَالِكٌ لاَ أَرَاهُ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ ذَاكَ مُنَافِقٌ لاَ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تَقُلْ ذَاكَ أَلاَ تَرَاهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ‏.‏ أَمَّا نَحْنُ فَوَاللَّهِ لاَ نَرَى وُدَّهُ وَلاَ حَدِيثَهُ إِلاَّ إِلَى الْمُنَافِقِينَ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ‏.‏ يَبْتَغِي بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ مَحْمُودٌ فَحَدَّثْتُهَا قَوْمًا فِيهِمْ أَبُو أَيُّوبَ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَتِهِ الَّتِي تُوُفِّيَ فِيهَا وَيَزِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ عَلَيْهِمْ بِأَرْضِ الرُّومِ، فَأَنْكَرَهَا عَلَىَّ أَبُو أَيُّوبَ قَالَ وَاللَّهِ مَا أَظُنُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا قُلْتَ قَطُّ‏.‏ فَكَبُرَ ذَلِكَ عَلَىَّ فَجَعَلْتُ لِلَّهِ عَلَىَّ إِنْ سَلَّمَنِي حَتَّى أَقْفُلَ مِنْ غَزْوَتِي أَنْ أَسْأَلَ عَنْهَا عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ إِنْ وَجَدْتُهُ حَيًّا فِي مَسْجِدِ قَوْمِهِ، فَقَفَلْتُ فَأَهْلَلْتُ بِحَجَّةٍ أَوْ بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ سِرْتُ حَتَّى قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَأَتَيْتُ بَنِي سَالِمٍ، فَإِذَا عِتْبَانُ شَيْخٌ أَعْمَى يُصَلِّي لِقَوْمِهِ فَلَمَّا سَلَّمَ مِنَ الصَّلاَةِ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَأَخْبَرْتُهُ مَنْ أَنَا، ثُمَّ سَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ الْحَدِيثِ فَحَدَّثَنِيهِ كَمَا حَدَّثَنِيهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ‏.‏

حدثني اسحاق، حدثنا يعقوب بن ابراهيم، حدثنا ابي، عن ابن شهاب، قال اخبرني محمود بن الربيع الانصاري، انه عقل رسول الله صلى الله عليه وسلم، وعقل مجة مجها في وجهه من بىر كانت في دارهم‏.‏ فزعم محمود انه سمع عتبان بن مالك الانصاري ـ رضى الله عنه ـ وكان ممن شهد بدرا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كنت اصلي لقومي ببني سالم، وكان يحول بيني وبينهم واد اذا جاءت الامطار فيشق على اجتيازه قبل مسجدهم، فجىت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقلت له اني انكرت بصري، وان الوادي الذي بيني وبين قومي يسيل اذا جاءت الامطار فيشق على اجتيازه، فوددت انك تاتي فتصلي من بيتي مكانا اتخذه مصلى‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سافعل ‏"‏‏.‏ فغدا على رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر ـ رضى الله عنه ـ بعد ما اشتد النهار فاستاذن رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذنت له فلم يجلس حتى قال ‏"‏ اين تحب ان اصلي من بيتك ‏"‏‏.‏ فاشرت له الى المكان الذي احب ان اصلي فيه، فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فكبر وصففنا وراءه، فصلى ركعتين، ثم سلم وسلمنا حين سلم، فحبسته على خزير يصنع له فسمع اهل الدار رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيتي فثاب رجال منهم حتى كثر الرجال في البيت‏.‏ فقال رجل منهم ما فعل مالك لا اراه‏.‏ فقال رجل منهم ذاك منافق لا يحب الله ورسوله‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا تقل ذاك الا تراه قال لا اله الا الله‏.‏ يبتغي بذلك وجه الله ‏"‏‏.‏ فقال الله ورسوله اعلم‏.‏ اما نحن فوالله لا نرى وده ولا حديثه الا الى المنافقين‏.‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فان الله قد حرم على النار من قال لا اله الا الله‏.‏ يبتغي بذلك وجه الله ‏"‏‏.‏ قال محمود فحدثتها قوما فيهم ابو ايوب صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزوته التي توفي فيها ويزيد بن معاوية عليهم بارض الروم، فانكرها على ابو ايوب قال والله ما اظن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما قلت قط‏.‏ فكبر ذلك على فجعلت لله على ان سلمني حتى اقفل من غزوتي ان اسال عنها عتبان بن مالك ـ رضى الله عنه ـ ان وجدته حيا في مسجد قومه، فقفلت فاهللت بحجة او بعمرة، ثم سرت حتى قدمت المدينة فاتيت بني سالم، فاذا عتبان شيخ اعمى يصلي لقومه فلما سلم من الصلاة سلمت عليه واخبرته من انا، ثم سالته عن ذلك الحديث فحدثنيه كما حدثنيه اول مرة‏.‏


Narrated Mahmud bin Ar-rabi' Al-Ansari:

that he remembered Allah's Messenger (ﷺ) and he also remembered a mouthful of water which he had thrown on his face, after taking it from a well that was in their house. Mahmud said that he had heard `Itban bin Malik, who was present with Allah's Messenger (ﷺ) in the battle of Badr saying, "I used to lead my people at Bani Salim in the prayer and there was a valley between me and those people. Whenever it rained it used to be difficult for me to cross it to go to their mosque. So I went to Allah's Messenger (ﷺ) and said, 'I have weak eyesight and the valley between me and my people flows during the rainy season and it becomes difficult for me to cross it; I wish you would come to my house and pray at a place so that I could take that place as a praying place.' Allah's Messenger (ﷺ) said, 'I will do so.' So Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr came to my house in the (next) morning after the sun had risen high. Allah's Messenger (ﷺ) asked my permission to let him in and I admitted him. He did not sit before saying, 'Where do you want us to offer the prayer in your house?' I pointed to the place where I wanted him to pray. So Allah's Messenger (ﷺ) stood up for the prayer and started the prayer with Takbir and we aligned in rows behind him; and he offered two rak`at, and finished them with Taslim, and we also performed Taslim with him. I detained him for a meal called "Khazir" which I had prepared for him.--("Khazir" is a special type of dish prepared from barley flour and meat soup)-- When the neighbors got the news that Allah's Messenger (ﷺ) was in my house, they poured it till there were a great number of men in the house. One of them said, 'What is wrong with Malik, for I do not see him?' One of them replied, 'He is a hypocrite and does not love Allah and His Apostle.' On that Allah's Apostle said, 'Don't say this. Haven't you seen that he said, 'None has the right to be worshipped but Allah for Allah's sake only.' The man replied, 'Allah and His Apostle know better; but by Allah, we never saw him but helping and talking with the hypocrites.' Allah's Messenger (ﷺ) replied, 'No doubt, whoever says. None has the right to be worshipped but Allah, and by that he wants the pleasures of Allah, then Allah will save him from Hell." Mahmud added, "I told the above narration to some people, one of whom was Abu Aiyub, the companion of Allah's Messenger (ﷺ) in the battle in which he (Abu Aiyub) died and Yazid bin Mu'awiya was their leader in Roman Territory. Abu Aiyub denounced the narration and said, 'I doubt that Allah's Messenger (ﷺ) ever said what you have said.' I felt that too much, and I vowed to Allah that if I remained alive in that holy battle, I would (go to Medina and) ask `Itban bin Malik if he was still living in the mosque of his people. So when he returned, I assumed Ihram for Hajj or `Umra and then I proceeded on till I reached Medina. I went to Bani Salim and `Itban bin Malik, who was by then an old blind man, was leading his people in the prayer. When he finished the prayer, I greeted him and introduced myself to him and then asked him about that narration. He told that narration again in the same manner as he had narrated it the first time."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত (كتاب التهجد) 19/ Prayer At Night (Tahajjud)