সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ)
২৯৫০

পরিচ্ছেদঃ নিজের মত অনুসারে কুরআন তাফসীর করা

২৯৫০. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি ইলম ছাড়া কুরআন সম্পর্কে কথা বলবে সে যেন জাহান্নামে তার আবাস বানিয়ে নেয়।

যঈফ, মিশকাত ২৩৪, নাকদুত তাজ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابُ مَا جَاءَ فِي الَّذِي يُفَسِّرُ القُرْآنَ بِرَأْيِهِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِغَيْرِ عِلْمٍ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا بشر بن السري، حدثنا سفيان، عن عبد الاعلى، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من قال في القران بغير علم فليتبوا مقعده من النار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever says (something) about the Qur'an without knowledge, then let him take his seat in the Fire."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫১

পরিচ্ছেদঃ নিজের মত অনুসারে কুরআন তাফসীর করা

২৯৫১. সুফইয়ান ইবন ওয়াকী (রহঃ) ...... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা নিশ্চিত ভাবে যা জান তা ছাড়া আমার থেকে হাদীস বর্ণনা ক্ষেত্রে সাবধান থাকবে। যে ব্যক্তি জেনে শুনে আমর প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে সে যেন জাহান্নামকে তার আবাস বানিয়ে নেয়। আর যে ব্যক্তি কুরআনে নিজের মত অনুসারে কথা বলবে সেও যেন জাহান্নামকে তার আবাস বানিয়ে নেয়।

যঈফ, মিশকাত ২৩৫, নাকদুত তাজ, যইফা ১৭৮৩, সিফাতুস সালাত, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান।

بَابُ مَا جَاءَ فِي الَّذِي يُفَسِّرُ القُرْآنَ بِرَأْيِهِ

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ عَمْرٍو الْكَلْبِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ اتَّقُوا الْحَدِيثَ عَنِّي إِلاَّ مَا عَلِمْتُمْ فَمَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَمَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا سويد بن عمرو الكلبي، حدثنا ابو عوانة، عن عبد الاعلى، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اتقوا الحديث عني الا ما علمتم فمن كذب على متعمدا فليتبوا مقعده من النار ومن قال في القران برايه فليتبوا مقعده من النار ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
that the Prophet (ﷺ) said: "Beware of narrating from me except what I taught you, for whoever lies about me on purpose, then let him take his seat in the Fire. And whoever says (something) about the Qur'an according to his (own) opinion, then let him take his seat in the Fire."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫২

পরিচ্ছেদঃ নিজের মত অনুসারে কুরআন তাফসীর করা

২৯৫২. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... জুন্দুব ইবন আব্দুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের মত অনুসারে কুরআন সম্পর্কে কথা বলে সে যদি শুদ্ধও বলে, তাহলেও সে অপরাধ করল।

যঈফ, মিশকাত ২৩৫, নাকদুত তাজ।

কতক আলিম শ্রেণীর সাহাবা এবং অন্যান্য উলামায়ে কিরাম (রহঃ) থেকে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তাঁরা ইলম ছাড়া কুরআনের তাফসীর করার বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর মত ব্যক্ত করেছেন। মুজাহিদ, কাতাদা প্রমূখ (রহঃ) আলিমগণ কুরআন করীমের তাফসীর করতেন বলে বর্ণনা পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের বিষয়ে এই কথার ধারণাও করা য়ায় না যে, তাঁরা ইলম ছাড়া নিজ মত অনুসারে কুরআন সম্পর্কে কথা বলেছেন বা এর তাফসীর করেছেন। তারা ইলম ছাড়া নিজেদের পক্ষ থেকে কিছু বলেন নি বলে আমরা যে মন্তব্য করেছি তাঁদের পক্ষ থেকে বর্ণিত বক্তব্যেও এর প্রমাণ বিদ্যমান। কোন কোন হাদীস বিশারদ সুহায়ল ইবন আবূ হাযম সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। হুসায়ন ইবন মাহদী আল-বাসরী (রহঃ) ... কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরআনের এমন কোন আয়াত নেই যে বিষয়ে আমি কোন রিওয়ায়ত শুনিনি।

সনদ সহীহ, মাকতু।

ইবন আবূ উমর (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি যদি ইবন মাসঊদের কিরাআত পাঠ করতাম তবে কুরআনের অনেক এমন বিষয়ে যেগুলো সম্পর্কে আমি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে প্রশ্ন করেছি সেগুলো সম্পর্কে আর তাঁকে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজনবোধ করতাম না।

সনদ সহীহ, মাকতু, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابُ مَا جَاءَ فِي الَّذِي يُفَسِّرُ القُرْآنَ بِرَأْيِهِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَزْمٍ أَخُو حَزْمٍ الْقُطَعِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قَالَ فِي الْقُرْآنِ بِرَأْيِهِ فَأَصَابَ فَقَدْ أَخْطَأَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي سُهَيْلِ بْنِ أَبِي حَزْمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُمْ شَدَّدُوا فِي هَذَا فِي أَنْ يُفَسَّرَ الْقُرْآنُ بِغَيْرِ عِلْمٍ ‏.‏ وَأَمَّا الَّذِي رُوِيَ عَنْ مُجَاهِدٍ وَقَتَادَةَ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ فَسَّرُوا الْقُرْآنَ فَلَيْسَ الظَّنُّ بِهِمْ أَنَّهُمْ قَالُوا فِي الْقُرْآنِ أَوْ فَسَّرُوهُ بِغَيْرِ عِلْمٍ أَوْ مِنْ قِبَلِ أَنْفُسِهِمْ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُمْ مَا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا أَنَّهُمْ لَمْ يَقُولُوا مِنْ قِبَلِ أَنْفُسِهِمْ بِغَيْرِ عِلْمٍ ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ الْبَصْرِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ إِلاَّ وَقَدْ سَمِعْتُ فِيهَا بِشَيْءٍ ‏.‏

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ قَالَ مُجَاهِدٌ لَوْ كُنْتُ قَرَأْتُ قِرَاءَةَ ابْنِ مَسْعُودٍ لَمْ أَحْتَجْ إِلَى أَنْ أَسْأَلَ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ كَثِيرٍ مِنَ الْقُرْآنِ مِمَّا سَأَلْتُ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا حبان بن هلال، حدثنا سهيل بن عبد الله، وهو ابن ابي حزم اخو حزم القطعي حدثنا ابو عمران الجوني، عن جندب بن عبد الله، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من قال في القران برايه فاصاب فقد اخطا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏ وقد تكلم بعض اهل العلم في سهيل بن ابي حزم ‏.‏ قال ابو عيسى هكذا روي عن بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم انهم شددوا في هذا في ان يفسر القران بغير علم ‏.‏ واما الذي روي عن مجاهد وقتادة وغيرهما من اهل العلم انهم فسروا القران فليس الظن بهم انهم قالوا في القران او فسروه بغير علم او من قبل انفسهم وقد روي عنهم ما يدل على ما قلنا انهم لم يقولوا من قبل انفسهم بغير علم ‏.‏ حدثنا الحسين بن مهدي البصري، اخبرنا عبد الرزاق، عن معمر، عن قتادة، قال ما في القران اية الا وقد سمعت فيها بشيء ‏.‏ حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن الاعمش، قال قال مجاهد لو كنت قرات قراءة ابن مسعود لم احتج الى ان اسال ابن عباس عن كثير من القران مما سالت ‏.‏


Narrated Jundab bin 'Abdullah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever says (something) about the Qur'an according to his own opinion and he is correct, yet he has committed a mistake."


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫৩

পরিচ্ছেদঃ সূরা ফাতিহা

২৯৫৩. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার সালাতে উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে না তার সালাত (নামায) হবে ক্রটিযুক্ত, অসম্পূর্ণ। রাবী আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, আমি বললামঃ হে আবূ হুরায়রা, আমি তো অনেক সময় ইমামের পেছনে থাকি।

তিনি বললেনঃ হে পারস্য সন্তান, তখন মনে মনে তা পাঠ করবে। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ আমি সালাত (সূরা ফাতিহা)-কে আমার ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে অর্ধাঅর্ধি বিভক্ত করে দিয়েছি। তার অর্ধেক আমার আর অর্ধেক আমার বান্দার। আর আমার বান্দারা যা চাইবে তাই পাবে।

বান্দা সালাতে দাঁড়িয়ে বলেঃ আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।

তখন আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।

বান্দা বলেঃ আর রাহমানির রাহীম।

আল্লাহ্ বলেনঃ বান্দা আমার ছানা ছিফাত করেছে।

বান্দা বলেঃ মালিকি ইয়াও মিদ্দীন।

আল্লাহ্ বলেনঃ আমার বান্দা আমার মর্যাদা দিয়েছে।

এতটুকু হল আমার। আমার এবং আমার বান্দার মাঝে হল, ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তা’ঈন। সূরার শেষ অংশ হল আমার বান্দার। বান্দা আমার কাছে যা চাইবে তা পাবে।

বান্দা বলেঃ ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম, সীরাতাল্লাযীনা আনআমতা আলাইহিম গায়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালায্যাল্লীন।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ৮৩৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান। শু’বা ও ইসমাঈল ইবন জা’ফর প্রমুখ (রহঃ) ... আলা ইবন আবদুর রহমান ... আবদুর রহমান ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

ইবন জুরায়জ ও মালিক ইবন আনাস (রহঃ) ... আলা ইবন আবদুর রহমান ... হিশাম ইবন যুহরার মাওলা আবূ’স সাইব ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ও ইয়াকূব ইবন সূফইয়ান ফারসী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি উম্মুল কুরআন পাঠ ছাড়া সালাত (নামায) আদায় করে তার সালাত (নামায) হল ক্রটিযুক্ত, অসম্পূর্ণ। ইসমাঈল ইবন উওয়ায়স (রহঃ)-এর রিওয়ায়তে এর অতিরিক্ত কিছু নেই। আবূ যুরআ (রহঃ)-কে আমি এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেন, উভয় হাদিসই সহীহ। তিনি ইবন আবূ উওয়ায়স-তার পিতা আবূ উওয়ায়স ... আলা (রহঃ) এর রিওয়ায়তটি দলীল হিসাবে ব্যবহার করেছেন।

আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ... আদী ইবন হাতিম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম। তিনি তখন মসজিদে বসা ছিলেন। লোকেরা বললঃ ইনি হলেন আদী ইবন হাতিম। আমি কোনরূপ নিরাপত্তা লাভ বা চুক্তিপত্র সম্পাদন ছাড়াই তাঁর নিকট এসেছিলাম। আমাকে তাঁর সামনে হাযির করা হলে তিনি আমার হাত ধরলেন। এর আগেই তিনি বলেছিলেন, আমি আশা করছি, আল্লাহ্ তা’আলা আমার হাতে তাঁর হাত অর্পণ করবেন।

আদী রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন, তিনি আমাকে নিয়ে উঠে চললেন। পথে একটি বালকসহ এক মহিলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করে। তারা বললঃ আপনার কাছে আমাদের একটু দরকার ছিল। তাদের প্রয়োজন সমাধা না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর তিনি আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে তাঁর ঘরে এলেন। একটি বালিকা একটি গদি বিছিয়ে দিল। তিনি তাতে বসলেন আর আমি তাঁর সামনে বসলাম। তখন তিনি আল্লাহর হামদ ও ছানা পাঠ করলেন। এরপর বললেনঃ আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ আছে বলে তুমি কি জান? আদী বলেন, আমি বললামঃ না।

এরপর তিনি আরো কিছুক্ষণ কা বলে পরে বললেন: তুমি’আল্লাহু আকবার’ এই কথা বলা থেকে ভাগছ। আল্লাহর চেয়েও বড় কিছু আছে বলে তুমি কি জানো?

আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ ইয়াহুদীরা তো আল্লাহর অভিশপ্ত জাতি আর নাসারারা হল পথভ্রষ্ট।

আমি বললামঃ আমি তো একজন একনিষ্ঠ মুসলিম। আমি দেখলাম তাঁর চেহারা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠছে। এরপর তাঁর নির্দেশে আমাকে আমাকে জনৈক আনসারীর বাড়িতে মেহমান হিসাবে রাখা হয়। দিনের দুই প্রান্তে আমি তাঁর খেদমতে এসে হাজির হতাম। একদিন বিকালে তাঁর কাছে হাযির ছিলাম। এমন সময় সাদা-কাল ডোরাকাটা রেশমী পোষাকে একদল লোক এল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায) আদায় করলেন এবং দাঁড়িয়ে এদের সাহায্য করার জন্য লোকদের উৎসাহিত করলেন। বললেনঃ একসা’, অর্ধসা’, একমুষ্ঠ বা মুষ্ঠির অংশ হলেও তা দান করে জাহান্নামের আগুনের তাপ থেকে তোমরা নিজেদের রক্ষা কর; একটা খেজুর বা খেজুরের অংশ দিয়ে হলেও। কেননা আল্লাহর সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাত হবে। আমি তোমাদের যা বলছি তিনি তোমাদের তা বলবেনঃ আমি কি তোমাকে কান ও চোখ দেই নি? সে বলবেঃ অবশ্যই।

আল্লাহ্ বলবেনঃ তোমাকে কি আমি সম্পদ ও সন্তান দেইনি?

আল্লাহ্ বলবেনঃ তোমার নিজের জন্যে অগ্রে কি পাঠিয়ে এসেছ?

সে তার সামনের দিকে তাকাবে। তার পেছনে, ডানে এবং বামে তাকাবে। কিন্তু সে জাহান্নামের ভীষণ উত্তাপ থেকে নিজেকে রক্ষার কিছু পাবে না।

সুতরাং তোমরা একটা খেজুরে অংশও দান করে হলে জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা কর। তা যদি না পাও, তবে ভাল কথার মাধ্যমে হলেও তা কর। কারণ, আমি তোমাদের ব্যাপারে উপবাসের আশংকা করি না। আল্লাহ্ তোমাদের সাহায্য করবেন। তিনি তোমাদের প্রচুর দান করবেন। এমনটি উষ্ট্রারোহিণী কোন মহিলা ইয়াছরিব (মদীনা) ও হেরার মাঝে বহু সফর করবে কিন্তু সে তার বাহনের কিছু চুরির কোন আশংকা করবে না। আদী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি মনে মনে বললামঃ তাহলে কবীলার চোরগুলো তখন যাবে কোথায়?

হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদিসটি হাসান-গারীব। সিমাক ইবন হারব (রহঃ) এর রিওয়ায়ত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছূ জানা নেই। শু’বা (রহঃ) সিমাক ইবন হারব-আব্বাদ ইবন হুবায়শ-আদী ইবন হাতীম রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দীর্ঘ হাদীসটি বর্ণনা করেন।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ فَاتِحَةِ الكِتَابِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ إِنِّي أَحْيَانًا أَكُونُ وَرَاءَ الإِمَامِ ‏.‏ قَالَ يَا ابْنَ الْفَارِسِيِّ فَاقْرَأْهَا فِي نَفْسِكَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى قَسَمْتُ الصَّلاَةَ بَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي نِصْفَيْنِ فَنِصْفُهَا لِي وَنِصْفُهَا لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُومُ الْعَبْدُ فَيَقْرَأُ ‏:‏ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ فَيَقُولُ اللَّهُ حَمِدَنِي عَبْدِي فَيَقُولُ ‏:‏ ‏(‏الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏)‏ فَيَقُولُ اللَّهُ أَثْنَى عَلَىَّ عَبْدِي فَيَقُولُ ‏:‏ ‏(‏ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ ‏)‏ فَيَقُولُ مَجَّدَنِي عَبْدِي وَهَذَا لِي وَبَيْنِي وَبَيْنَ عَبْدِي ‏:‏ ‏(‏إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ‏)‏ وَآخِرُ السُّورَةِ لِعَبْدِي وَلِعَبْدِي مَا سَأَلَ يَقُولُ ‏:‏ ‏(‏اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَرَوَى ابْنُ جُرَيْجٍ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا ‏.‏

وَرَوَى ابْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي وَأَبُو السَّائِبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا ‏.‏ أَخْبَرَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ وَيَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَارِسِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنِي أَبِي وَأَبُو السَّائِبِ مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ وَكَانَا جَلِيسَيْنِ لأَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ فَهِيَ خِدَاجٌ غَيْرُ تَمَامٍ ‏"‏ ‏.‏ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي أُوَيْسٍ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا ‏.‏ وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ كِلاَ الْحَدِيثَيْنِ صَحِيحٌ ‏.‏ وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ الْعَلاَءِ ‏.‏

أَخْبَرَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، أَنْبَأَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ الْقَوْمُ هَذَا عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ ‏.‏ وَجِئْتُ بِغَيْرِ أَمَانٍ وَلاَ كِتَابٍ فَلَمَّا دَفَعْتُ إِلَيْهِ أَخَذَ بِيَدِي وَقَدْ كَانَ قَالَ قَبْلَ ذَلِكَ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ يَدَهُ فِي يَدِي قَالَ فَقَامَ بِي فَلَقِيَتْهُ امْرَأَةٌ وَصَبِيٌّ مَعَهَا ‏.‏ فَقَالاَ إِنَّ لَنَا إِلَيْكَ حَاجَةً فَقَامَ مَعَهُمَا حَتَّى قَضَى حَاجَتَهُمَا ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي حَتَّى أَتَى بِي دَارَهُ فَأَلْقَتْ لَهُ الْوَلِيدَةُ وِسَادَةً فَجَلَسَ عَلَيْهَا وَجَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَا يُفِرُّكَ أَنْ تَقُولَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَهَلْ تَعْلَمُ مِنْ إِلَهٍ سِوَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ تَكَلَّمَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّمَا تَفِرُّ أَنْ تَقُولَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَتَعْلَمُ أَنَّ شَيْئًا أَكْبَرُ مِنَ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ لاَ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ الْيَهُودَ مَغْضُوبٌ عَلَيْهِمْ وَإِنَّ النَّصَارَى ضُلاَّلٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَإِنِّي جِئْتُ مُسْلِمًا ‏.‏ قَالَ فَرَأَيْتُ وَجْهَهُ تَبَسَّطَ فَرَحًا قَالَ ثُمَّ أَمَرَ بِي فَأُنْزِلْتُ عِنْدَ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ جَعَلْتُ أَغْشَاهُ آتِيهِ طَرَفَىِ النَّهَارِ قَالَ فَبَيْنَا أَنَا عِنْدَهُ عَشِيَّةً إِذْ جَاءَهُ قَوْمٌ فِي ثِيَابٍ مِنَ الصُّوفِ مِنْ هَذِهِ النِّمَارِ قَالَ فَصَلَّى وَقَامَ فَحَثَّ عَلَيْهِمْ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ وَلَوْ صَاعٌ وَلَوْ بِنِصْفِ صَاعٍ وَلَوْ بِقَبْضَةٍ وَلَوْ بِبَعْضِ قَبْضَةٍ يَقِي أَحَدُكُمْ وَجْهَهُ حَرَّ جَهَنَّمَ أَوِ النَّارِ وَلَوْ بِتَمْرَةٍ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ لاَقِي اللَّهَ وَقَائِلٌ لَهُ مَا أَقُولُ لَكُمْ أَلَمْ أَجْعَلْ لَكَ سَمْعًا وَبَصَرًا فَيَقُولُ بَلَى ‏.‏ فَيَقُولُ أَلَمْ أَجْعَلْ لَكَ مَالاً وَوَلَدًا فَيَقُولُ بَلَى ‏.‏ فَيَقُولُ أَيْنَ مَا قَدَّمْتَ لِنَفْسِكَ فَيَنْظُرُ قُدَّامَهُ وَبَعْدَهُ وَعَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ ثُمَّ لاَ يَجِدُ شَيْئًا يَقِي بِهِ وَجْهَهُ حَرَّ جَهَنَّمَ لِيَقِ أَحَدُكُمْ وَجْهَهُ النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَبِكَلِمَةٍ طَيِّبَةٍ فَإِنِّي لاَ أَخَافُ عَلَيْكُمُ الْفَاقَةَ فَإِنَّ اللَّهَ نَاصِرُكُمْ وَمُعْطِيكُمْ حَتَّى تَسِيرَ الظَّعِينَةُ فِيمَا بَيْنَ يَثْرِبَ وَالْحِيرَةِ أَكْثَرُ مَا تَخَافُ عَلَى مَطِيَّتِهَا السَّرَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَجَعَلْتُ أَقُولُ فِي نَفْسِي فَأَيْنَ لُصُوصُ طَيِّئٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ حُبَيْشٍ عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْحَدِيثَ بِطُولِهِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن العلاء بن عبد الرحمن، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ من صلى صلاة لم يقرا فيها بام القران فهي خداج فهي خداج غير تمام ‏"‏ ‏.‏ قال قلت يا ابا هريرة اني احيانا اكون وراء الامام ‏.‏ قال يا ابن الفارسي فاقراها في نفسك فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ قال الله تعالى قسمت الصلاة بيني وبين عبدي نصفين فنصفها لي ونصفها لعبدي ولعبدي ما سال يقوم العبد فيقرا ‏:‏ ‏(‏الحمد لله رب العالمين ‏)‏ فيقول الله حمدني عبدي فيقول ‏:‏ ‏(‏الرحمن الرحيم ‏)‏ فيقول الله اثنى على عبدي فيقول ‏:‏ ‏(‏ مالك يوم الدين ‏)‏ فيقول مجدني عبدي وهذا لي وبيني وبين عبدي ‏:‏ ‏(‏اياك نعبد واياك نستعين ‏)‏ واخر السورة لعبدي ولعبدي ما سال يقول ‏:‏ ‏(‏اهدنا الصراط المستقيم * صراط الذين انعمت عليهم غير المغضوب عليهم ولا الضالين ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقد روى شعبة واسماعيل بن جعفر وغير واحد عن العلاء بن عبد الرحمن عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا الحديث ‏.‏ وروى ابن جريج ومالك بن انس عن العلاء بن عبد الرحمن عن ابي الساىب مولى هشام بن زهرة عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا ‏.‏ وروى ابن ابي اويس، عن ابيه، عن العلاء بن عبد الرحمن، قال حدثني ابي وابو الساىب، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا ‏.‏ اخبرنا بذلك محمد بن يحيى النيسابوري ويعقوب بن سفيان الفارسي قالا حدثنا اسماعيل بن ابي اويس عن ابيه عن العلاء بن عبد الرحمن حدثني ابي وابو الساىب مولى هشام بن زهرة وكانا جليسين لابي هريرة عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ من صلى صلاة لم يقرا فيها بام القران فهي خداج فهي خداج غير تمام ‏"‏ ‏.‏ وليس في حديث اسماعيل بن ابي اويس اكثر من هذا ‏.‏ وسالت ابا زرعة عن هذا الحديث فقال كلا الحديثين صحيح ‏.‏ واحتج بحديث ابن ابي اويس عن ابيه عن العلاء ‏.‏ اخبرنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرحمن بن سعد، انبانا عمرو بن ابي قيس، عن سماك بن حرب، عن عباد بن حبيش، عن عدي بن حاتم، قال اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو جالس في المسجد فقال القوم هذا عدي بن حاتم ‏.‏ وجىت بغير امان ولا كتاب فلما دفعت اليه اخذ بيدي وقد كان قال قبل ذلك اني لارجو ان يجعل الله يده في يدي قال فقام بي فلقيته امراة وصبي معها ‏.‏ فقالا ان لنا اليك حاجة فقام معهما حتى قضى حاجتهما ثم اخذ بيدي حتى اتى بي داره فالقت له الوليدة وسادة فجلس عليها وجلست بين يديه فحمد الله واثنى عليه ثم قال ‏"‏ ما يفرك ان تقول لا اله الا الله فهل تعلم من اله سوى الله ‏"‏ ‏.‏ قال قلت لا ‏.‏ قال ثم تكلم ساعة ثم قال ‏"‏ انما تفر ان تقول الله اكبر وتعلم ان شيىا اكبر من الله ‏"‏ ‏.‏ قال قلت لا قال ‏"‏ فان اليهود مغضوب عليهم وان النصارى ضلال ‏"‏ ‏.‏ قال قلت فاني جىت مسلما ‏.‏ قال فرايت وجهه تبسط فرحا قال ثم امر بي فانزلت عند رجل من الانصار جعلت اغشاه اتيه طرفى النهار قال فبينا انا عنده عشية اذ جاءه قوم في ثياب من الصوف من هذه النمار قال فصلى وقام فحث عليهم ثم قال ‏"‏ ولو صاع ولو بنصف صاع ولو بقبضة ولو ببعض قبضة يقي احدكم وجهه حر جهنم او النار ولو بتمرة ولو بشق تمرة فان احدكم لاقي الله وقاىل له ما اقول لكم الم اجعل لك سمعا وبصرا فيقول بلى ‏.‏ فيقول الم اجعل لك مالا وولدا فيقول بلى ‏.‏ فيقول اين ما قدمت لنفسك فينظر قدامه وبعده وعن يمينه وعن شماله ثم لا يجد شيىا يقي به وجهه حر جهنم ليق احدكم وجهه النار ولو بشق تمرة فان لم يجد فبكلمة طيبة فاني لا اخاف عليكم الفاقة فان الله ناصركم ومعطيكم حتى تسير الظعينة فيما بين يثرب والحيرة اكثر ما تخاف على مطيتها السرق ‏"‏ ‏.‏ قال فجعلت اقول في نفسي فاين لصوص طيى ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث سماك بن حرب ‏.‏ وروى شعبة عن سماك بن حرب عن عباد بن حبيش عن عدي بن حاتم عن النبي صلى الله عليه وسلم الحديث بطوله ‏.‏


Narrated Al-'Ala bin 'Abdur-Rahman:
from his father, from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever performs a Salat in which he does not recite Umm Al-Qur'an in it, then it is aborted, it is aborted, not complete." He Said: "I said: 'O Abu Hurairah! Sometimes I am behind an Imam.' He said: 'O Ibn Al-Farisi! Then recite it to yourself. For indeed I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: Allah, the Most High said: "I have divided the Salat between Myself and My slaves into two halves. Half of it is for Me, and half of it for My slave, and My slave shall have what he asks for. My slave stands and says: All praise is due to Allah, the Lord of All that exists." So Allah, Blessed is He and Most High says: "My slave has expressed his gratitude to Me." He says: "The Merciful, the Beneficent. So he says: "My slave has praised Me." He says: Owner of the Day of Reckoning. He says: "My slave has glorified Me. And this is for Me, and between Me and My slave is: It is You alone whom we worship and it is You alone from whom we seek aid" until the end of the Surah "This is for My slave and My slave shall have what he asks for." So he says: Guide us to the straight path. The path of those upon whom You have bestowed your favor, not those with whom is Your wrath, now those who are astray."'

(Another chain) from 'Adi bin Hatim who said:
"I went to the Prophet (ﷺ) while he was sitting in the Masjid, the people said: 'This is 'Adi bin Hatim.' And I came without having a treaty nor a writ. When I was brought to him, he took my hand. Prior to that he had said: 'I hope that Allah will place his hand in my hand.'" He said: "He stood with me, and a woman and a boy met him and said: 'We have a need from you.' He stood with them, until he was finished dealing with what they wanted. Then he took me by the hand until he brought me to his house. A slave girl brought him a cushion to sit on, and I sat in front of him. He expressed thanks and praise for Allah then said: 'What has caused you to flee from saying La Ilaha Illallah? Do you know of another god other than Him?'" He said: "I said: 'No.'" He said: "Then he talked for some time, and then said: 'You refuse to say Allahu Akbar because you know that there is something greater than Allah?'" He said: "I said: 'No.' He said: 'Indeed the Jews are those who Allah is wrath with, and the Christians have strayed.'" He said: "I said: 'Indeed I am a Muslim, Hanif.'" He said: "I saw his face smiling with happiness." He said: "Then he ordered that I stop with him at the home of a man from the Ansar, whom he would frequently visit in the mornings and the evenings. When I was with him at night, a people in woolen garments of these Nimar (a cloth with certain patters, and the word appeared before) came. Then he performed Salat and stood to encourage them (the people) to give (charity) to them. Then he said: 'Even with a Sa' or half a Sa', or a handful or part of a handful, to save the face of one of you from the heat of Hell, or the Fire. And even if it be by a date or a part of a date - for indeed one of you shall meet Allah and it shall be said to him what I say to you: "Have I not given hearing and seeing to you?" He shall say: "Of course." It will be said: "Have I not given you wealth and children?" He shall say: "Of course." It will be said: "So where is what you have sent forth for yourself?" He will look before him and behind him, on his right and on his left, but he shall not find anything to protect his face from the heat of Hell. Let one of you protect his face from the Fire, even if with part of a date, and if he does not find that, then with a good statement. For indeed I do not fear poverty for you - Allah will aid you and grant you, such that a woman can travel on her camel howda from Yathrib to Al-Hirah, or further, without fear of being robbed.' I began thinking to myself: "Where would the thieves of Taiy' be then?"'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫৪

পরিচ্ছেদঃ সূরা ফাতিহা

২৯৫৪. মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না ও বুনদার (রহঃ) ... আদী ইবন হাতিম রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াহূদীরা হল মাগযূব আলাইহিম বা ক্রোধে নিপতিত আর নাসারারা হল পথভ্রষ্ট।

সহীহ, তাখরীজু শারহিল আকিদাতুত তাহাবিয়া ৫৩১, সহিহাহ ৩২৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এরপর তিনি দীর্ঘ হাদীসটি বর্ণনা করেন।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ فَاتِحَةِ الكِتَابِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَبُنْدَارٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْيَهُودُ مَغْضُوبٌ عَلَيْهِمْ وَالنَّصَارَى ضُلاَّلٌ ‏"‏ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، وبندار، قالا حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن سماك بن حرب، عن عباد بن حبيش، عن عدي بن حاتم، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اليهود مغضوب عليهم والنصارى ضلال ‏"‏ ‏.‏ فذكر الحديث بطوله ‏.‏


Narrated 'Adiyy bin Hatim:
that the Prophet (ﷺ) said: "The Jews are those who Allah is wrath with, and the Christians have strayed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫৫

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৫৫. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এক মুঠ মাটি নিয়ে আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আঃ)-কে বানিয়েছেন। যমীনের বৈশিষ্ট্য অনুসারে আদম সন্তানরা এসেছে। তাদের মধ্যে কেউ লাল, কেউ সাদা, কেউ কাল, আর কেউ বা এর মাঝামাঝি। তাদের কেউ কোমল, কেউ কঠোর, কেউ মন্দ, কেউ বা ভাল।

সহীহ, মিশকাত ১০০, সহীহাহ ১৬৩০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ الأَعْرَابِيِّ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الأَرْضِ فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الأَرْضِ فَجَاءَ مِنْهُمُ الأَحْمَرُ وَالأَبْيَضُ وَالأَسْوَدُ وَبَيْنَ ذَلِكَ وَالسَّهْلُ وَالْحَزْنُ وَالْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، وابن ابي عدي، ومحمد بن جعفر، وعبد الوهاب، قالوا حدثنا عوف بن ابي جميلة الاعرابي، عن قسامة بن زهير، عن ابي موسى الاشعري، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله تعالى خلق ادم من قبضة قبضها من جميع الارض فجاء بنو ادم على قدر الارض فجاء منهم الاحمر والابيض والاسود وبين ذلك والسهل والحزن والخبيث والطيب ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Musa Al-Ash'ari:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed Allah Most High created Adam from a handful that He took from all of the earth. So the children of Adam come in according with the earth, some of them come red, and white and black, and between that, and the thin, the thick, the filthy, and the clean."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫৬

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৫৬. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বাণীঃ (ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا) (২ঃ ৫৮) (বানূ ইসরাঈল) তোমরা আনত হয়ে দ্বারে প্রবেশ কর- প্রসঙ্গে বলেছেনঃ তারা (আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে) নিতম্বের উপর ভর করে দ্বারে প্রবেশ করে।

এই সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, (فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا قَوْلاً غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ) ‏কিন্তু এই জালিমরা তাদের যা বলা হয়েছিল তৎপরিবর্তে অন্য কথা বলল (২ঃ ৫৯) সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারা বলল, যবের ভেতর শস্য দানা।

সহীহ, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا ‏)‏ قَالَ ‏"‏ دَخَلُوا مُتَزَحِّفِينَ عَلَى أَوْرَاكِهِمْ ‏"‏ ‏.‏

وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَ ‏:‏ ‏(‏فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا قَوْلاً غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ ‏)‏ قَالَ ‏"‏ قَالُوا حَبَّةٌ فِي شَعْرَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرزاق، عن معمر، عن همام بن منبه، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في قوله ‏:‏ ‏(‏ادخلوا الباب سجدا ‏)‏ قال ‏"‏ دخلوا متزحفين على اوراكهم ‏"‏ ‏.‏ وبهذا الاسناد عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏(‏فبدل الذين ظلموا قولا غير الذي قيل لهم ‏)‏ قال ‏"‏ قالوا حبة في شعرة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said, regarding Allah's saying: Enter the gate in prostration (2:58): "They entered dragging their behinds" meaning they distorted it, and with this chain, from the Prophet (ﷺ): But those who did wrong changed the word from that which had been told to them for another (2:59) - "They said: Habbah (a seed) in Sha'irah (in barely)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫৭

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৫৭. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবন আমির ইবন রাবীআ তার পিতা আমির ইবন রাবীআ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, এক নিবিড় অন্ধকার রাতে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। কেবলা কোন দিকে আমরা তা জানতে পারলাম না। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ বিবেচনানুযায়ী কিবলা নির্ধারণ করে সালাত (নামায)আদায় করে নেয়। সকালে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বিষয়টি উত্থাপন করি। তখন নাযিল হলঃ (‏فاَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ) (যে দিকে তোমরা মুখ ফিরাবে সে দিকেই আল্লাহর চেহারা (২ঃ ১১৫)।

হাসান, ইবনু মাজাহ ১০২০

হাদীসটি গারীব। আশআছ সাম্মান আবূ রাবী ... আসিম ইবন উবায়দুল্লাহ্ (রহঃ) এর হাদীস ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আশআছ হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ السَّمَّانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرِهِ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ فَلَمْ نَدْرِ أَيْنَ الْقِبْلَةُ فَصَلَّى كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا عَلَى حِيَالِهِ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏أَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَشْعَثَ السَّمَّانِ أَبِي الرَّبِيعِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَأَشْعَثُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا وكيع، حدثنا اشعث السمان، عن عاصم بن عبيد الله، عن عبد الله بن عامر بن ربيعة، عن ابيه، قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفره في ليلة مظلمة فلم ندر اين القبلة فصلى كل رجل منا على حياله فلما اصبحنا ذكرنا ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فنزلت ‏:‏ ‏(‏اينما تولوا فثم وجه الله ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث اشعث السمان ابي الربيع عن عاصم بن عبيد الله ‏.‏ واشعث يضعف في الحديث ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin 'Amir bin Rabi'ah:
from his father who said: "We were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey on a very dark night and we did not know where the Qiblah was. So each man among us prayed in his own direction. In the morning when we mentioned that to the Messenger of Allah (ﷺ), then the following was revealed: "So wherever you turn, there is the Face of Allah. (2:115)"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫৮

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৫৮. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ...... ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বাহনের উপর আরোহী অবস্থায় যে দিকে ইচ্ছা সে দিকে ফিরে নফল সালাত (নামায) আদায় করেছেন। তিনি তখন মক্কা থেকে মদীনায় আসছিলেন। এরপর ইবন উমর এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ (‏وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ) ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ এই আয়াতটি এই প্রসঙ্গেই নাযিল হয়েছে। সিফাতুস সালাত, মুসলিম।

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি (وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ) (পূর্ব-পশ্চিম আল্লাহরই সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও না কেন সে দিকেই আল্লাহর চেহারা।) (২ঃ ১৪৪) আয়াতটি সম্পর্কে বলেছেন যে, এটি মানসুখ। এই বিধান (ولله الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ) (فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ)(সালাতে) মসজিদে হারাম কা’বার দিকেই তোমার চেহারা ফিরাবে (২ঃ ১৪৪) আয়াতটির দ্বারা মানসূখ হয়ে গেছে। (‏أَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ) অর্থাৎ কা’বার দিকে।

মুহাম্মাদ ইবন আবদুল মালিক ইবন আব শাওয়াবির (রহঃ) ...... কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন; আর মুজাহিদ (রহঃ) থেকে (‏أَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ) আয়াত সম্পর্কে বর্ণিত মর্ম হল, সেদিকেই আল্লাহর কিবলা রয়েছে। আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবন আলা (রহঃ) ... মুজাহিদ (রহঃ) থেকে উক্তরূপ বর্ণিত আছে।

মাকতু, সানাদ সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ تَطَوُّعًا حَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ وَهُوَ جَاءٍ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ ثُمَّ قَرَأَ ابْنُ عُمَرَ هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَفِي هَذَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

وَيُرْوَى عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِِ ‏:‏ ‏(‏)ولله الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ‏)‏ قَالَ قَتَادَةُ هِيَ مَنْسُوخَةٌ نَسَخَهَا قَوْلُهُ ‏:‏ ‏(‏فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ‏)‏ أَىْ تِلْقَاءَهُ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ ‏.‏

وَيُرْوَى عَنْ مُجَاهِدٍ، فِي هَذِهِ الآيَةِ ‏:‏ ‏(‏أَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ‏)‏ قَالَ فَثَمَّ قِبْلَةُ اللَّهِ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنِ النَّضْرِ بْنِ عَرَبِيٍّ عَنْ مُجَاهِدٍ بِهَذَا ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا يزيد بن هارون، اخبرنا عبد الملك بن ابي سليمان، قال سمعت سعيد بن جبير، يحدث عن ابن عمر، قال كان النبي صلى الله عليه وسلم يصلي على راحلته تطوعا حيثما توجهت به وهو جاء من مكة الى المدينة ثم قرا ابن عمر هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ولله المشرق والمغرب ‏)‏ الاية ‏.‏ قال ابن عمر ففي هذا انزلت هذه الاية ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ ويروى عن قتادة، انه قال في هذه الاية ‏:‏ ‏(‏)ولله المشرق والمغرب فاينما تولوا فثم وجه الله ‏)‏ قال قتادة هي منسوخة نسخها قوله ‏:‏ ‏(‏فول وجهك شطر المسجد الحرام ‏)‏ اى تلقاءه ‏.‏ حدثنا بذلك محمد بن عبد الملك بن ابي الشوارب حدثنا يزيد بن زريع عن سعيد عن قتادة ‏.‏ ويروى عن مجاهد، في هذه الاية ‏:‏ ‏(‏اينما تولوا فثم وجه الله ‏)‏ قال فثم قبلة الله ‏.‏ حدثنا بذلك ابو كريب محمد بن العلاء حدثنا وكيع عن النضر بن عربي عن مجاهد بهذا ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
"The Messenger of Allah (ﷺ) would perform voluntary Salat upon his mount facing whichever direction he was headed, while he was coming from Makkah to Al-Madinah." Then Ibn 'Umar recited: To Allah belong both the east and the west. (2:115)" And Ibn 'Umar said: "It was about this that the Ayah was revealed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৫৯

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৫৯. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমর ইবনুল খাত্তাব একদিন বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমরা মাকামে ইবরাহীমের পেছনে যদি সালাত (নামায) আদায় করতাম (তবে কতই না ভাল হত)। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى) অর্থাৎ মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান রূপে গ্রহণ কর। (২ঃ ১২৫)

সহীহ, বুখারি ৪৪৮৩, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ صَلَّيْنَا خَلْفَ الْمَقَامِ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا الحجاج بن منهال، حدثنا حماد بن سلمة، عن حميد، عن انس، ان عمر، قال يا رسول الله لو صلينا خلف المقام فنزلت ‏:‏ ‏(‏واتخذوا من مقام ابراهيم مصلى ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Anas:
that 'Umar bin Al-Khattab said: "O Messenger of Allah (ﷺ)! I wish that we could perform Salat behind the Maqam: So the following was revealed: And take you the Maqam of Ibrahim as a place of Salat. (2:125)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬০

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬০. আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি যদি মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান হিসাবে গ্রহণ করতেন। (তবে কতই না ভাল হত)। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ (وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى) তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান হিসাবে গ্রহণ করবে (২ঃ ১২৫) -

সহীহ, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوِ اتَّخَذْتَ مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا هشيم، اخبرنا حميد الطويل، عن انس، قال قال عمر بن الخطاب رضي الله عنه قلت لرسول الله صلى الله عليه وسلم لو اتخذت من مقام ابراهيم مصلى فنزلت ‏:‏ ‏(‏واتخذوا من مقام ابراهيم مصلى ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وفي الباب عن ابن عمر ‏.‏


Narrated Anas:
that 'Umar bin Al-Khattab [may Allah be pleased with him] said: "I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ)! I wish that you could perform Salat behind the Maqam of Ibrahim.' So the following was revealed: And take you the Maqam of Ibrahim as a place of Salat."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬১

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬১. আহমদ ইবন মানী’ (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিতঃ (‏كََذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا) তোমাদেরকে ’উম্মাত ওয়াসাত’ হিসাবে বানিয়েছি (২ঃ ১৪৩) সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃعَدْلاً বা ন্যায়নিষ্ঠ।

সহীহ, বুখারি ৪৪৮৭, মুসলিম।

হাদীসটি হাসান-সহীহ।

আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (কিয়ামতের দিন) নূহ (আঃ)-কে ডাকা হবে এবং জিজ্ঞাসা করা হবে, আপনি কি (আপনি কি আপনার কওমকে আল্লাহর বাণী) পৌছিয়েছিলেন? তিনি বলবেনঃ হ্যাঁ। এরপর তাঁর কওমকে ডাকা হবে। জিজ্ঞাসা করা হবে তোমাদের নিকট কি (আমার হুকুম-আহকাম) পৌছান হয়েছিল? তারা বলবেঃ আমাদের কাছে তো কোন সতর্ককারী আসেনি। কেউই তো আমাদের কাছে আসে নেই।

(নূহ (আঃ)-কে) বলা হবেঃ তোমার সাক্ষী কে?

তিনি বলবেনঃ মুহাম্মাদ ও তাঁর উম্মত।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন তোমাদেরকে আনা হবে। তোমরা সাক্ষ্য দিবে যে, তিনি (নূহ) অবশ্যই তা পৌছিয়েছেন। এই হল আল্লাহ্ তা’আলার এই বাণীর তাৎপর্যঃ

وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا

এইভাবে তোমাদের আমি ন্যায়নিষ্ঠ উম্মত হিসাবে বানিয়েছি যেন তোমরা লোকদের জন্য সাক্ষী হও আর রাসূল হবেন তোমাদের সাক্ষী। (২ঃ ১৪৫)। বুখারি ৪৪৮৭

الْعَدْل - ন্যায়নিষ্ঠ।

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... আ’মাশ (রহঃ) থেকে অনূরূপ বর্ণিত আছে।

তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏كََذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا ‏)‏ قَالَ ‏"‏ عَدْلاً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُدْعَى نُوحٌ فَيُقَالُ هَلْ بَلَّغْتَ فَيَقُولُ نَعَمْ ‏.‏ فَيُدْعَى قَوْمُهُ فَيُقَالُ هَلْ بَلَّغَكُمْ فَيَقُولُونَ مَا أَتَانَا مِنْ نَذِيرٍ وَمَا أَتَانَا مِنْ أَحَدٍ ‏.‏ فَيَقُولُ مَنْ شُهُودُكَ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ ‏.‏ قَالَ فَيُؤْتَى بِكُمْ تَشْهَدُونَ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ ‏:‏ ‏(‏وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا‏)‏ وَالْوَسَطُ الْعَدْلُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا ابو معاوية، حدثنا الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم في قوله ‏:‏ ‏(‏كذلك جعلناكم امة وسطا ‏)‏ قال ‏"‏ عدلا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا جعفر بن عون، اخبرنا الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يدعى نوح فيقال هل بلغت فيقول نعم ‏.‏ فيدعى قومه فيقال هل بلغكم فيقولون ما اتانا من نذير وما اتانا من احد ‏.‏ فيقول من شهودك فيقول محمد وامته ‏.‏ قال فيوتى بكم تشهدون انه قد بلغ فذلك قول الله ‏:‏ ‏(‏وكذلك جعلناكم امة وسطا لتكونوا شهداء على الناس ويكون الرسول عليكم شهيدا‏)‏ والوسط العدل ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ حدثنا محمد بن بشار، حدثنا جعفر بن عون، عن الاعمش، نحوه ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed:
that about Allah's saying: Thus we have made you a Wasata nation (2:143) - the Prophet (ﷺ) said: "The meaning of Wasata is just."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬২

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬২. হান্নাদ (রহঃ) ..... বারা ইবন আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় আগমন করেন ষোল বা সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত (নামায) আদায় করেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বার দিকে ফিরে সালাত (নামায) আদায় করা পছন্দ করতেন। তখন আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেনঃ

قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ‏

"আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানো আমি লক্ষ্য করছি। সুতরাং আপনাকে আপনার পছন্দের কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। অতএব আপনি (সালাতে) মসজিদে হারামের দিকে মুখ ফিরাবেন।" (২ঃ ১৪৩) অর্থাৎ কা’বার দিকে মুখ করুন। আর তিনি নিজেও তা ভালবাসতেন। এক ব্যক্তি তার সঙ্গে (ঐ দিন) আসরের সালাত (নামায) আদায় করে আনসারদের একটি সম্প্রদায়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা তখনও বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে আসরের সালাতে রুকূতে ছিলেন। তিনি সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত (নামায) আদায় করেছেন এবং তাঁকে কা’বার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হযেছে। বর্ণনাকারী বলেনঃ তাঁরা রুকূ অবস্থাতেই কা’বার দিকে ফিরে গেলেন।

সহীহ, সিফাতুস সালাত, বুখারি ৪৪৯২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হসান-সহীহ। সূফইয়ান ছাওরী এটিকে আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ صَلَّى نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ أَنْ يُوَجَّهَ إِلَى الْكَعْبَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ‏:‏ ‏(‏ قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ‏)‏ فَوَجَّهَ نَحْوَ الْكَعْبَةِ وَكَانَ يُحِبُّ ذَلِكَ فَصَلَّى رَجُلٌ مَعَهُ الْعَصْرَ قَالَ ثُمَّ مَرَّ عَلَى قَوْمٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُمْ رُكُوعٌ فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَقَالَ هُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَّهُ قَدْ وُجِّهَ إِلَى الْكَعْبَةِ قَالَ فَانْحَرَفُوا وَهُمْ رُكُوعٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا وكيع، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن البراء بن عازب، قال لما قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة صلى نحو بيت المقدس ستة او سبعة عشر شهرا وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يحب ان يوجه الى الكعبة فانزل الله‏:‏ ‏(‏ قد نرى تقلب وجهك في السماء فلنولينك قبلة ترضاها فول وجهك شطر المسجد الحرام ‏)‏ فوجه نحو الكعبة وكان يحب ذلك فصلى رجل معه العصر قال ثم مر على قوم من الانصار وهم ركوع في صلاة العصر نحو بيت المقدس فقال هو يشهد انه صلى مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وانه قد وجه الى الكعبة قال فانحرفوا وهم ركوع ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد رواه سفيان الثوري عن ابي اسحاق ‏.‏


Narrated Al-Bara bin 'Azib:
"When the Messenger of Allah (ﷺ) arrived in Al-Madinah, he performed Salat facing the direction of Bait Al-Maqdis (Jerusalem) for sixteen or seventeen months. The Messenger of Allah (ﷺ) longed to face toward the Ka'bah, so Allah, Might and Sublime is He revealed: Verily, WE have seen the turning of your face towards the heave. Surely, We Shall turn your face in the direction of Al-Masjid Al-Haram (2:144). So he faced the direction of the Ka'bah and he longed for that. (One day) a man performed Salat Al-'Asr along with him." He said: "Then he passed by some people of the Ansar performing Salat Al-'Asr, while they were bowing toward Bait Al-Maqdis. He told them that he testifies that he performed Salat with the Messenger of Allah (ﷺ), and he had faced the direction of the Ka'bah." He said: "So they turned while they were bowing."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬৩

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬৩. হান্নাদ (রহঃ) ..... ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এঁরা ঐ সময় ফজরের সালাতের রুকূতে ছিলেন।

সহীহ, ইরওয়া ২৯০, বুখারি ৪৪৮৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আমর ইবন আওফ মুযানী, ইবন উমর, উমারা ইবন আওফ, আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانُوا رُكُوعًا فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيِّ وَابْنِ عُمَرَ وَعُمَارَةَ بْنِ أَوْسٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا وكيع، عن سفيان، عن عبد الله بن دينار، عن ابن عمر، قال كانوا ركوعا في صلاة الفجر ‏.‏ وفي الباب عن عمرو بن عوف المزني وابن عمر وعمارة بن اوس وانس بن مالك ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عمر حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
"They were bowing during Salat Al-Fajr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬৪

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬৪. হান্নাদ ও আবূ আম্মার (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যখন (কিবলার বিষয়ে) কা’বার দিকে ফিরানো হল তখন সাহাবীরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের সেই সব ভাইদের কি হবে যারা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে সালাত (নামায) আদায় করেছেন এবং সে যুগে মারা গিয়েছেন? এই প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ (‏وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ) "আল্লাহ্ এমন নন যে, তাদের ঈমান ব্যর্থ করে দিবে।" (২ঃ ১৪৩)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

সহীহ লিগাইরিহী, তা’লীকাতু হাসসান (১৭১৪), বুখারী, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَأَبُو عَمَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا وُجِّهَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْكَعْبَةِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ مَاتُوا وَهُمْ يُصَلُّونَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ‏:‏ ‏(‏وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا هناد، وابو عمار قالا حدثنا وكيع، عن اسراىيل، عن سماك، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال لما وجه النبي صلى الله عليه وسلم الى الكعبة قالوا يا رسول الله كيف باخواننا الذين ماتوا وهم يصلون الى بيت المقدس فانزل الله‏:‏ ‏(‏وما كان الله ليضيع ايمانكم ‏)‏ الاية ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"When the Prophet (ﷺ) began facing the Ka'bah they said: 'O Messenger of Allah! How about our brothers who died while they were praying toward Bait Al-Maqdis?' So Allah Most High revealed: Allah would not allow your faith to be wasted. (2:143)"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬৫

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬৫. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ...... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-কে বললাম, যে ব্যক্তি সাফা ও মারওয়ার মধ্যে তওয়াফ (সাঈ) করল না এতে আমি কোন দোষ মনে কনি না, এবং এ দুটির মাঝে তাওয়াফ না করাতে আমি কোন পরোয়া করি না।

তিনি বললেনঃ হে আমার ভাগনে, তুমি অত্যন্ত মন্দ কথা বলেছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তওয়াফ করেছেন এবং মুসলিমরাও তওয়াফ করেছেন। মুশাল্লাল নামক স্থানে অবস্থিত মানাত মূর্তির নামের যে সকল কাফির ইহরাম বাঁধত, তারা সাফা ও মারওয়ার মধ্যে তওয়াফ করত না। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করেনঃ

فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا

"যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহর হজ্জ করে বা উমরা করে এতদুভয়ের তওয়াফ করায় কোন দোষ নেই" (২ঃ ১৫৮)। তুমি যা বলছ তা যদি হত তবে তিনি বলতেনঃ এতদুভয়ের তওয়াফ না করাতে কোন দোষ নেই।

যুহরী (রহঃ) বলেনঃ আমি আবূ বকর ইবন আবদুর রহমান ইবন হারিছ ইবন হিশাম (রহঃ) এর কাছে এই কথাটির উল্লেখ করলাম। তিনি এতে খুবই আশ্চার্যাম্বিত হলেন। বললেনঃ এই হল ইলম। আমি বহু আলিমকে বলতে শুনেছি যে, যে সব আরব সাফা-মারওয়া-এর তওয়াফ করত না তারা বলত এ দুটো পাথরের মাঝে তওয়াফ করা হল জাহিলী যুগের বিষয়। আনসারদের একদল বলতঃ আমাদের তো বায়তুল্লাহ্ তওয়াফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাফা ও মারওয়ার মাঝে তো তওয়াফের (সাঈর) নির্দেশ আমাদের দেওয়া হয় নি। তখন আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ

‏إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ

সাফা ও মারওয়া হল তো আল্লাহর বিশেষ নিদর্শনাবলীর অন্যতম (২ঃ ১৫৮)।

আবূ বকর ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ আমার মনে হয় এদের এবং ওদের উভয় দলের ব্যাপারেই আয়াতটি নাযিল হয়েছে।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৯৮৬, বুখারি ৪৪৯৫, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ شَيْئًا وَمَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَطَّوَّفَ بَيْنَهُمَا ‏.‏ فَقَالَتْ بِئْسَمَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَافَ الْمُسْلِمُونَ وَإِنَّمَا كَانَ مَنْ أَهَلَّ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي بِالْمُشَلَّلِ لاَ يَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ‏)‏ وَلَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ وَقَالَ إِنَّ هَذَا لَعِلْمٌ وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ إِنَّمَا كَانَ مَنْ لاَ يَطَّوَّفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مِنَ الْعَرَبِ يَقُولُونَ إِنَّ طَوَافَنَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَجَرَيْنِ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الأَنْصَارِ إِنَّمَا أُمِرْنَا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَمْ نُؤْمَرْ بِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ‏)‏ قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأُرَاهَا قَدْ نَزَلَتْ فِي هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، قال سمعت الزهري، يحدث عن عروة، قال قلت لعاىشة ما ارى على احد لم يطف بين الصفا والمروة شيىا وما ابالي ان لا اطوف بينهما ‏.‏ فقالت بىسما قلت يا ابن اختي طاف رسول الله صلى الله عليه وسلم وطاف المسلمون وانما كان من اهل لمناة الطاغية التي بالمشلل لا يطوفون بين الصفا والمروة فانزل الله ‏:‏ ‏(‏فمن حج البيت او اعتمر فلا جناح عليه ان يطوف بهما ‏)‏ ولو كانت كما تقول لكانت فلا جناح عليه ان لا يطوف بهما قال الزهري فذكرت ذلك لابي بكر بن عبد الرحمن بن الحارث بن هشام فاعجبه ذلك وقال ان هذا لعلم ولقد سمعت رجالا من اهل العلم يقولون انما كان من لا يطوف بين الصفا والمروة من العرب يقولون ان طوافنا بين هذين الحجرين من امر الجاهلية وقال اخرون من الانصار انما امرنا بالطواف بالبيت ولم نومر به بين الصفا والمروة فانزل الله تعالى ‏(‏ان الصفا والمروة من شعاىر الله ‏)‏ قال ابو بكر بن عبد الرحمن فاراها قد نزلت في هولاء وهولاء ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Az-Zuhri:
that 'Urqah said: "I said to 'Aishah: 'I do not see anything wrong if someone does not go between As-Safa and Al-Marwah, nor any harm if I do not go between them.' She said: 'How horrible is what you have said O my nephew! The Messenger of Allah (ﷺ) would go between them, and the Muslims go between them. It was only that the people who assumed Ihram in the name of the false deity Mannah, which was in Al-Mushallal, would not go between As-Safa and Al-Marwah. So, Allah Blessed and Most High revealed: So it is not a sin for those who perform Hajj or go 'Umrah to the House to go between them (2:158). And if it were as you say, then it would be: "Then there is no harm on him if he does not go between them." Az-Zuhri said: "I mentioned that to Abu Bakr bin 'Abdur-Rahman bin Al-Harith bin Hisham. He was surprised at that and he said: 'Indeed this is knowledge. I had heard some men among the people of knowledge saying that those Arabs who would not go between As-Safa and Al-Marwah said, that going between these two rocks is a matter from Jahiliyyah. And others among the Ansar said: "We have only been ordered with going around the House, we were not ordered to do so with As-Safa and Al-Marwah." So Allah Most High revealed: Indeed As-Safa and Al-Marwah are of the symbols of Allah...' (2.158) Abu Bakr bin 'Abdur-Rahman said: 'So I thought that it was revealed about these people, and those people.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬৬

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬৬. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... আসিম আহওয়াল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে সাফা ও মারওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বললেনঃ এ দুটো ছিল জাহিলী আমলের নিদর্শন। ইসলামের আবির্ভাবের পর আমরা এ দুটোর তওয়াফ থেকে বিরত হয়ে গেলাম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা’আলা নাযিল করলেনঃ

إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا

সাফা ও মারওয়া হল আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। সুতরাং যে ব্যক্তি হজ্জ করে বা উমরা করে তার জন্য এতদুভয়ের তওয়াফে কোন দোষ নেই (২ঃ ১৫৮)।

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেনঃ এ হল নফল।

আল্লাহ্ বলেনঃ (‏فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ) কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করলে আল্লাহ্ তো গুণগ্রাহী এবং সর্বজ্ঞ। (২ঃ ১৫৮)

সহীহ, বুখারি ৪৪৯৬, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الصَّفَا، وَالْمَرْوَةِ، فَقَالَ كَانَا مِنْ شَعَائِرِ الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ أَمْسَكْنَا عَنْهُمَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ‏)‏ قَالَ هُمَا تَطَوُّعٌ ‏(‏فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا يزيد بن ابي حكيم، عن سفيان، عن عاصم الاحول، قال سالت انس بن مالك عن الصفا، والمروة، فقال كانا من شعاىر الجاهلية فلما كان الاسلام امسكنا عنهما فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ ان الصفا والمروة من شعاىر الله فمن حج البيت او اعتمر فلا جناح عليه ان يطوف بهما ‏)‏ قال هما تطوع ‏(‏فمن تطوع خيرا فان الله شاكر عليم ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Asim Al-Ahwal:
"I asked Anas bin Malik about As-Safa and Al-Marwah, and he said: 'They were among the rites of Jahiliyyah.' He said: 'So during Islam, we refrained from them, then Allah, Blessed and Most High, revealed: Indeed As-Safa and Al-Marwah are of the symbols of Allah. So it is not a sin for those who perform Hajj or 'Umrah to the house to go between them. (2:158)' He said: 'So it is voluntarily then verily, Allah is the All-Recogniser, the All-Knowing. (2:158)'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসিম আল আহওয়াল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬৭

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬৭. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা এলেন সাতবার বায়তুল্লাহর তওয়াফ করলেন। তখন তাঁকে আমি পাঠ করতে শুনেছিঃ (وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى) তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান হিসাবে গ্রহণ কর (২ঃ ১২৫)। তারপর তিনি মাকামের পেছনে সালাত (নামায) আদায় করলেন। এরপর হাজারে আসওয়াদে আসলেন এবং একে চুম্বন করলেন। এরপর বললেনঃ আল্লাহ্ যা প্রথমে উল্লেখ করেছেন। আমরা তা থেকে শুরু করব। এরপর পাঠ করলেনঃ (‏إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ)।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৯৬০, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا فَقَرَأَ ‏:‏ ‏(‏وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ‏)‏ فَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ ثُمَّ أَتَى الْحَجَرَ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَرَأَ ‏:‏ ‏(‏إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن جعفر بن محمد، عن ابيه، عن جابر بن عبد الله، قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم حين قدم مكة طاف بالبيت سبعا فقرا ‏:‏ ‏(‏واتخذوا من مقام ابراهيم مصلى ‏)‏ فصلى خلف المقام ثم اتى الحجر فاستلمه ثم قال ‏"‏ نبدا بما بدا الله به ‏"‏ ‏.‏ وقرا ‏:‏ ‏(‏ان الصفا والمروة من شعاىر الله ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Jabir bin 'Abdullah:
"When the Messenger of Allah (ﷺ) arrived in Makkah, performing Tawaf around the House seven times, I heard him reciting: And take the Maqam of Ibrahim as a place of prayer (2:125). So he performed Salat behind the Maqam, then he came to the (Black) Stone, then he said: 'We begin with what Allah began with.' So he began at As-Safa and recited: Indeed As-Safa and Al-Marwah are among the Symbols of Allah (2:158)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬৮

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬৮. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ...... বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের আমল ছিল, যখন তাদের মধ্যে কেউ সিয়াম পালনের পর ইফতারের সময় এসে পড়লে তিনি যদি ইফতার করার পূর্বেই ঘুমিয়ে পড়তেন তবে এই রাত এবং পরের দিন সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই আহার করতেন না। কায়স ইবন সিরমা আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার সওম পালন করছিলেন। ইফতারের সময় হওয়ার পর স্ত্রীর কাছে এসে বললেনঃ কোন খাবার আছে কী? স্ত্রী বললঃ নেই তবে আপনার জন্য কিছু তালাশ করে আনতে যাচ্ছি।

সারাদিন তিনি কাজ করে এসেছিলেন। তাই তাঁর দু’চোখে ঘুম ভর করল। তাঁর স্ত্রী এসে তাঁকে দেখে বললেনঃ হায়, আপনিত বঞ্চিত। পরের দিন দুপুরে তিনি বেঁহুশ হয়ে পড়লেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে বিষয়টি উল্লেখ করা হল। তখন এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ) ’সিয়ামের রাত্রে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে’ (২ঃ ১৮৭)। সাহাবীগণ এতে অত্যন্ত আনন্দিত হলেন। আরো নাযিল হলঃ (فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ) তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ না রাত্রির কৃষ্ণ রেখা ঊষার শুভ্র রেখা স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয় (২ঃ ১৮৭)।

সহীহ, সহীহ আবু দাউদ ২০৩৪, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ بْنِ يُونُسَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَائِمًا فَحَضَرَ الإِفْطَارُ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَ لَمْ يَأْكُلْ لَيْلَتَهُ وَلاَ يَوْمَهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنَّ قَيْسَ بْنَ صِرْمَةَ الأَنْصَارِيَّ كَانَ صَائِمًا فَلَمَّا حَضَرَهُ الإِفْطَارُ أَتَى امْرَأَتَهُ فَقَالَ هَلْ عِنْدَكِ طَعَامٌ قَالَتْ لاَ وَلَكِنْ أَنْطَلِقُ فَأَطْلُبُ لَكَ ‏.‏ وَكَانَ يَوْمَهُ يَعْمَلُ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ وَجَاءَتْهُ امْرَأَتُهُ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ خَيْبَةً لَكَ ‏.‏ فَلَمَّا انْتَصَفَ النَّهَارُ غُشِيَ عَلَيْهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ‏)‏ فَفَرِحُوا بِهَا فَرَحًا شَدِيدًا ‏:‏ ‏(‏فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل بن يونس، عن ابي اسحاق، عن البراء، قال كان اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم اذا كان الرجل صاىما فحضر الافطار فنام قبل ان يفطر لم ياكل ليلته ولا يومه حتى يمسي وان قيس بن صرمة الانصاري كان صاىما فلما حضره الافطار اتى امراته فقال هل عندك طعام قالت لا ولكن انطلق فاطلب لك ‏.‏ وكان يومه يعمل فغلبته عينه وجاءته امراته فلما راته قالت خيبة لك ‏.‏ فلما انتصف النهار غشي عليه فذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فنزلت هذه الاية ‏:‏ ‏(‏ احل لكم ليلة الصيام الرفث الى نساىكم ‏)‏ ففرحوا بها فرحا شديدا ‏:‏ ‏(‏فكلوا واشربوا حتى يتبين لكم الخيط الابيض من الخيط الاسود من الفجر ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Al-Bara bin 'Azib:
"It was the custom among the Companions of Muhammad (ﷺ), that if any of them was fasting and the food was presented but he had slept before eating, he would not eat that night, nor the following day until the evening. Qais bin Sirmah Al-Ansari fasted and came to his wife at the time of Iftar, and said to her: 'No, but I will go and bring something for you.' He worked during the day, so his eyes (sleep) overcame him. Then his wife came, and when she saw him she said: 'You shall be disappointed.' About the middle of the next day he fainted. That was mentioned to the Prophet (ﷺ), so this Ayah was revealed: 'It is made lawful for you to have sexual relations with your women on the night of the fasts. So they were very happy about that. 'And eat and drink until the white thread (light) of dawn appears distinct to you from the black thread (of night). (2:187)'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
২৯৬৯

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-বাকারা

২৯৬৯. হান্নাদ (রহঃ) ...... নু’মান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত।

আল্লাহর বাণীঃ (‏وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ) তোমাদের পরওয়ারদিগার বলছেনঃ আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকের সাড়া দিব’ (৪০ঃ ৬০)। প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহকে ডাকা হল তার ইবাদত করা। এরপর তিনি পাঠ করলেনঃ (وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ‏‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏ ‏ دَاخِرِينَ‏‏ ) পর্যন্ত (সূরা গাফির ৪০ঃ ৬০)।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৮২৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৬৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ البَقَرَةِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ يُسَيْعٍ الْكِنْدِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ‏)‏ قَالَ ‏"‏ الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ ‏"‏ ‏.‏ وَقَرَأَ ‏:‏‏(‏ وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏ دَاخِرِينَ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ذر، عن يسيع الكندي، عن النعمان بن بشير، عن النبي صلى الله عليه وسلم في قوله ‏:‏ ‏(‏وقال ربكم ادعوني استجب لكم ‏)‏ قال ‏"‏ الدعاء هو العبادة ‏"‏ ‏.‏ وقرا ‏:‏‏(‏ وقال ربكم ادعوني استجب لكم ‏)‏ الى قوله ‏(‏ داخرين ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated An-Nu'man bin Bashir:
from the Prophet (ﷺ) regarding Allah's saying: Your Lord said: Invoke Me, I shall respond to you (40:60, it appears that the author intended to apply it to Al-Baqarah 2:186). - he said: "The supplication is the worship." And he recited: 'Your Lord said: Invoke Me, I shall respond to you.' up to His saying: 'in humiliation.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 50/ Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 18 19 20 21 পরের পাতা »