আমার এ বিষয়ে লেখার উদ্দেশ্য কিন্তু পাঠকদের স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেওয়া নয়, বরং দীনী সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আর এটা যে উলূমে ইসলামিয়ার একটি বিষয় সে ব্যাপারে ধারণা দেওয়া। আজ আমরা যারা ইসলামের জন্য নিবেদিত, তারাও যেন দিনে দিনে বস্তুবাদী আর ভোগবাদী হয়ে যাচ্ছি। যে বিষয়ে বাজারে চাহিদা নেই, মানুষ গুরুত্ব দেয় না (সে বিষয়গুলো যত ইসলামী সংস্কৃতির বিষয় হোক) তা আলোচনা করতে চাই না।

ইমাম মালেক রহ.-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সকলে কি স্বপ্নের তাবীর বা ব্যাখ্যা করবে? তিনি বলেছিলেন, নবুওয়াতের একটি বিষয় নিয়ে কি তামাশা করা যায়?

যে ব্যক্তি সঠিক ও সুন্দরভাবে স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে জানবে, শুধু সে-ই ব্যাখ্যা দেবে। যদি স্বপ্নটা ভালো হয়, তাহলে বলে দেবে। আর যদি স্বপ্নটা খারাপ হয়, তাহলে ভালো ব্যাখ্যা দেবে। তা সম্ভব না হলে চুপ থাকবে।[1]

সৌদী আরবের প্রখ্যাত আলেম ও আল-কুরআনের তাফসীরবিদ, শাইখ আব্দুর রহমান আস সাদী রহ. বলতেন: স্বপ্নের তাবীর বা ব্যাখ্যা উলূমুশ শরইয়্যার একটি বিষয়। এটি শিক্ষা করা ও শিক্ষা দান করার কারণে আল্লাহ তা‘আলা সওয়াব ও প্রতিদান দেবেন।[2]

এ বইটি সংকলনে যেসব গ্রন্থের সাহায্য নেওয়া হয়েছে

أهم المراجع لهذا الكتاب

    الرؤيا وما يتعلق بها – للشيخ عبد الله بن جار الله الجار الله
    تفسير الأحلام -  للإمام محمد بن سيرين رحمه الله
    القواعد الحسنى في تأويل الرؤى – للشيخ عبد الله بن محمد السدحان
    مقدمة ابن خلدون
    إعلام الموقعين - للإمام ابن القيم رحمه الله
    تيسير الكريم الرحمن في تفسير كلام المنان للشيخ عبد الرحمن السعدي – رحمه الله

[1] মুসান্নাফ ইবন আবি শাইবা
[2] তাইসীরুল কারীম আর রহমান ফী তাফসীরিল কালামিল মান্নান